অনেকেই বলছেন শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সত্য়িই এটা করোনার তৃতীয় ঢেউ কিনা, সেটা এখনই হলফ করে বলা না সম্ভবপর হলেও, একটা বিষয় অত্য়ন্ত পরিস্কার আর সেটা হল ফের একবার গোটা রাজ্য় জুড়েই দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। সঙ্গে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নতুন ভ্য়ারিয়ান্ট ওমিক্রন। আর এই সবকিছুর প্রেক্ষিতেই এবার ফের একবার রাজ্য়ের বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন তৈরির কথা বললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার কলকাতা মহানাগরিক মাননীয় হাকিম এর মন্তব্য়, “সোমবার থেকেই সেফ হোম চালু হচ্ছে কলকাতায়। আর যে যে এলাকায় একসঙ্গে পাঁচ কিংবা ছয় জন ব্য়ক্তির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার খবর পাওয়া যাবে, সেই সব এলাকাকে দ্রুত কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।“
এদিন একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য়, “জ্বর , সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশের মধ্য়েই কোনও উপসর্গ নেই। মাত্রই ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আর সেই ২০ শতাংশের মধ্য়ে আবার মাত্রই ৩ শতাংশ আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানোর দরকার পড়ছে।“ মেয়র ফিরহাদ এই মন্তব্য় করার পাশাপাশি বর্ষবরণের রাতে সরাসরি হাজির হন পার্ক স্ট্রিটে। সেখানকার পরিস্থিতি নিজের চোখে ক্ষতিয়ে দেখার পাশাপাশি যে সব মানুষের মুখে মাস্ক নেই, সেই সব মানুষদের হাতে মাস্ক তুলে দেন। একইসঙ্গে মাইকে করে বার বার সাধারণ মানুষকে সচেতন করবার চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতির সন্ধ্য়ায় নতুন করে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন মেয়র। বৈঠকে ছিলেন মেয়র, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং পুরসভার স্বাস্থ্য় দফতরের আধিকারিকরা। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত কলকাতার মোট ১৭টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ১৭টি এলাকায় ইতিমধ্য়েই একাধিক ব্য়াক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর রয়েছে বলেই এই সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। এছাড়াও এই ১৭টি জোনের বাইরের কোনও এলাকায় যদি একসঙ্গে পাঁচ বা তার বেশি সংখ্য়ায় মানুষ আক্রান্ত হন, তাহলে সেই এলাকাকেও সঙ্গে সঙ্গেই কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।