নয়াদিল্লি: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি-র মালিকানা নিয়ে জোর টানাপোড়েন। শেষে মঙ্গলবার রাতে চূড়ান্ত রায় দিল নির্বাচন কমিশন। শরদ পওয়ার নন, অজিত পওয়ারের গোষ্ঠীকেই এনসিপি-র প্রকৃত মালিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর নাম ও প্রতীক ব্যবহার করার ছাড়পত্রও পেয়ে গেলেন ভাইপোই।
দলে ভাঙন আসার পর থেকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল এনসিপি। একদিকে শরদ পওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে অজিত পওয়ার গোষ্ঠী। কারা আসল এনসিপি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সংঘাত। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে এই দ্বন্দ্ব। ১০টিরও বেশি শুনানি হয়েছে এই নিয়ে। অবশেষে অজিত পওয়ার গোষ্ঠীকেই-কেই আসল এনসিপি বলে ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এনসিপির সংবিধান এবং উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হয়। সংগঠন এবং আইনসভায় এনসিপির কাদের হাতে বেশি সংখ্যা আছে, তা সেটাও পরীক্ষা করে দেখেছে কমিশন। দলের সংবিধান খতিয়ে দেখা হয়। সেইসবের ভিত্তিতেই অজিতের গোষ্ঠীকে এনসিপির প্রকৃত ‘মালিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন।
দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ার বড়সড় ধাক্কা খেলেন নির্বাচন কমিশনের এই রায়ে। এ বার দল চালানোর জন্য সংগঠনের নতুন নাম খুঁজতে হবে বর্ষীয়ান রাজনীতিক শরদ পওয়ারকে। বেছে নিতে হবে নয়া প্রতীক। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেদের রাজনৈতিক দলের নাম কী হবে, তা নির্ধারণের জন্য শরদদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। একবারই সেই সুযোগ মিলবে। আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য বুধবার বিকেলের মধ্যে তাঁদের তিনটি নাম জমা দিতে হবে।