রাজ্যে চালু হওয়ার মাত্র ২৬ দিনের মধ্যেই বিশাল সাফল্যের মুখ দেখল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্প। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এত কম সময়ে এক কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। ১৪,৫০০-রও বেশি শিবিরে যোগ দিয়ে তাঁরা নিজেদের এলাকার বিভিন্ন সমস্যা জানিয়েছেন। সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা সেই সমস্যাগুলি নথিভুক্ত করে সমাধানের রূপরেখা তৈরি করছেন।
শুক্রবার প্রকল্পের অগ্রগতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “মাত্র ২৬ দিনে এক কোটির গণ্ডি ছুঁতে পেরেছি। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে শিবিরে আসছেন। এত দ্রুত এই সাড়া পাওয়া আমাদের সুশাসনেরই প্রতিফলন।”
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
মমতা বলেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান বাংলার গণতান্ত্রিক সুশাসন ও সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করছে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস পরিশ্রমকে তিনি কুর্নিশ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের উপর আস্থা রাখার জন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার আগামী দিনেও মানুষের পাশে থাকবে।”
প্রকল্পের মূল কাঠামো
- শুরু: ২ আগস্ট ২০২৫
- বরাদ্দ: প্রতিটি বুথে ১০ লক্ষ টাকা
- উদ্দেশ্য: মানুষের সরাসরি অংশগ্রহণে স্থানীয় সমস্যার সমাধান
- অংশগ্রহণ: সরকারি আধিকারিকরা সরাসরি সমস্যার শুনানি করে শংসাপত্র দিচ্ছেন
- সুবিধা: লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্যভাতা-সহ মোট ৩৭টি প্রকল্পের পরিষেবা একসঙ্গে
রাজনৈতিক তাৎপর্য
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প শুধুমাত্র জনকল্যাণমূলক উদ্যোগই নয়, বরং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই শুরু হয়েছে। বুথ স্তরে সরকারকে নিয়ে গিয়ে মানুষের আস্থা পুনরুজ্জীবিত করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই গ্রামীণ ও শহুরে বাংলায় এই উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে।