প্রথম পাতা খবর আবারও উত্তপ্ত আমতা, ভোররাতে পুলিশকে আটকাল গ্রামবাসীরা

আবারও উত্তপ্ত আমতা, ভোররাতে পুলিশকে আটকাল গ্রামবাসীরা

254 views
A+A-
Reset

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে অনেকটাই যেন চাপা পড়ে গিয়েছিল এই মুহূর্তে এরাজ্যের সবথেকে বড় হয়ে ওঠা ইস্যু আনিস খান মৃত্যু রহস্য । কিন্তু শনিবার সকালে ফের একবার শিরোনামে চলে এল এই ঘটনা। কারণ শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার আমতায় আনিসের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল SIT ও পুলিশ। লক্ষ্য ছিল আনিসের দেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো। কিন্তু ঘটনা স্থলে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ও তদন্তকারী অফিসারদের ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা।

ভোররাতের এই ঘটনার জেরে আনিসকাণ্ডে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হাওড়ার আমতা। জানা যাচ্ছে যে, মৃত আনিসের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে আমতায় পৌঁছয় পুলিশ। আর পুলিশের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন SIT এর সদস্য সহ পুলিশ আধিকারিকরা।

কিন্তু এভাবে মধ্যরাতে কবর থেকে আনিসের দেহ তুলতে দিতে রাজি হয়নি আনিসের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। আর তাই পুলিশের এই দেহ তোলার কাজে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। আনিসের বাড়ির কাছে পৌঁছনোর আগেই পুলিশকে আটকে দেয় স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরপর শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ ও বচসা। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের অবরোধের মুখে পড়ে দেহ না তুলেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এরপর শনিবার সকালে মৃত আনিস খানের বাবা বলেন, “আগেই বলেছিলাম যে আমি অসুস্থ। তাই সোমবার কবর থেকে দেহ তোলা হোক। আমি নিজে উপস্থিত থাকব এবং আমাদের আইনজীবীও থাকবেন। আদালতের নির্দেশ মত সবার উপস্থিতিতে দেহ তোলা হোক। কিন্তু এতকিছুর পরেও ওরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে মধ্যরাতে দেহ তুলে নিয়ে যেতে এল, এরপরেও কী SIT -কে বিশ্বাস করতে পারব বা আস্থা রাখতে পারব আমরা? এই কারণেই আমি বারবার বলেছি আর এখনও বলছি CBI তদন্ত চাই।”

এই ঘটনায় আনিসের দাদাও বলেন, গ্রামবাসীরা পুলিশকে আটকাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আগেই লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম বাবা অসুস্থ। আর তাই অনুরোধ করেছিলাম, যাতে সোমবার দেহ তোলা হয়। আমরাও চাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হোক। কিন্তু এত কিছুর পরেও রাতের অন্ধকারে কেন এল ওরা? কেন বিশাল পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছিল? তাছাড়া এই কাজের জন্যে BDO কেন আসবেন? দেহ তুলতে হলে সেটা সোমবারই তুলতে হবে আর সেটাও দিনের আলোয় সবার সামনেই তুলতে হবে। কিন্তু যদি এভাবে জোর জবরদস্তি করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.