ইমন কল্যাণ সেন
অন্ত্যোদয় পরিবারগুলির রেশন বণ্টনে সমতা আনার উদ্যোগ নিল খাদ্যদফতর। এক সদস্য বিশিষ্ট পরিবার থেকে শুরু করে বড় পরিবারগুলিতে সমান সুবিধা পৌঁছে দিতে এবার নতুন নীতি কার্যকর হচ্ছে। জেলা পর্যায়ের আধিকারিকদের কাছে এই বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সারা রাজ্যে অন্ত্যোদয় প্রকল্পে (Antyodaya Anna Yojana) সওয়া তিন লক্ষেরও বেশি এক সদস্য বিশিষ্ট পরিবার চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে একাংশ নাবালক। তাঁদের মূল পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকৃত অন্ত্যোদয় পরিবারের সংখ্যা কেন্দ্রীয় কোটা থেকেও কমে গিয়েছে। কোটা পূরণের জন্য এবার বড় পরিবারগুলিকে একাধিক ভাগে ভাগ করে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নীতি অনুযায়ী—
- কোনও পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১২ জনের বেশি এবং ২২ জনের কম হলে, সেটিকে দুই ভাগে ভাগ করা যাবে।
- ২২ জন বা তার বেশি সদস্য থাকলে, পরিবারটি দু’টি বা তিনটি ভাগে বিভক্ত হবে।
প্রতি পরিবারে অন্তত ৫ জন সদস্য থাকলে তবেই আবেদনের ভিত্তিতে এই বিভাজনের সুবিধা পাওয়া যাবে।
অন্ত্যোদয় পরিবারগুলিকে মাসে পরিবার পিছু ৩৫ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। অন্যদিকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সাধারণ পরিবার মাথাপিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পান। খাদ্যদপ্তরের যুক্তি, আট সদস্যের একটি অন্ত্যোদয় পরিবার ৩৫ কেজি পাচ্ছে, অথচ অন্ত্যোদয় নয় এমন আট সদস্যের পরিবার ৪০ কেজি খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। এই বৈষম্য দূর করতেই নতুন ব্যবস্থা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে অন্ত্যোদয় পরিবারের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৩১৭। মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫২ লক্ষ ৬৫ হাজার। আর জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে রেশনগ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ২ লক্ষ। এই প্রকল্পের কোটা কেন্দ্রীয় সরকার ১১ বছর আগে স্থির করেছে। সেই সীমার মধ্যেই রেশন সুবিধায় সমতা আনার চেষ্টা করছে রাজ্য খাদ্যদপ্তর।