অবশেষে পাকিস্তানের হামলায় ভারতের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা স্বীকার করলেন সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান। সিঙ্গাপুরে সাংগ্রিলা সংলাপে যোগ দিতে গিয়ে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। এটিই প্রথমবার, ভারত সরকারপক্ষ থেকে যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হল।
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তান কি ভারতের একটি বা একাধিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল? সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ না বললেও চৌহান জানান, “আমাদের কাছে এটা বড় বিষয় নয় যে বিমান ধ্বংস হয়েছে। বড় বিষয় হল, কেন তা হয়েছে।” এর পর প্রশ্নকর্তা সরাসরি জানতে চান, অন্তত একটি যুদ্ধবিমান কি ধ্বংস হয়েছিল? এর উত্তরে অনিল সংক্ষেপে বলেন, “হ্যাঁ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গেই কৌশলগত ভুল বুঝে তা শুধরে নিই এবং দু’দিনের মধ্যে ফের সেই কৌশল প্রয়োগ করি। আমাদের সব যুদ্ধবিমান আবার উড়েছিল এবং আমরা সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হই।”
তবে পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা পুরোপুরি নস্যাৎ করেছেন অনিল। ঠিক কতগুলি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে জবাবি পদক্ষেপ নেয় ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে চালানো হয় সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও। টানা চার দিনের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপমহাদেশ। পরে ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এই শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতার দাবি করেন।
তবে এই সংঘাতে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা ছিল কি না, তা মানতে নারাজ অনিল চৌহান। তাঁর কথায়, “সাধারণ সামরিক সংঘাত আর পরমাণু যুদ্ধের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। আলোচনার রাস্তা সবসময় খোলা ছিল।”