ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ ভাঙা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। সোমবার দুপুরে ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা শাসক দলের সেই প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেওয়ার পরই শুরু হয় চাপানউতোর।
সেনার তরফে জারি হওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠানের জন্য তৃণমূলকে মাত্র দু’দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রায় এক মাস ধরে ওই অস্থায়ী মঞ্চ বাঁধা ছিল। সেনা দাবি করে, “তিন দিনের বেশি অনুষ্ঠান করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে আয়োজকদের একাধিকবার জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই মঞ্চ সরানোর কাজ শুরু হয়।” সেনা আরও জানায়, কলকাতা পুলিশকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল।
তবে সেনার এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ ভাঙার খবর পেয়ে সরাসরি ধর্মতলায় গিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। যদিও সেনার প্রতি ভাষা ছিল সংযত। তাঁর কথায়, “আমার আর্মির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ আমরা সেনাকে নিয়ে গর্বিত।” তবে আক্রমণের নিশানায় ছিল বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার। মমতার দাবি, “মোদীবাবুর অনুমতি নিয়ে আমাকে কর্মসূচি করতে হবে না। আমি মানুষের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করি।”
তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ, সেনাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। তাঁর কথায়, “সরি টু সে, এটা আর্মি নয়, পিছে মে ক্যায়া হ্যায়? ছুপা রুস্তম বিজেপি হ্যায়।” রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং বাংলা ভাষার অসম্মানের প্রতিবাদে তৃণমূল প্রতিটি শনিবার ও রবিবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির সামনে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সেই মঞ্চ ভাঙা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে।