কলকাতা: শাক-সবজির অগ্নিমূল্যের জেরে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নাভিশ্বাস উঠছে আম-আদমির। মঙ্গলবার টাস্ক-ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার সকাল থেকেই গোটা রাজ্যে শুরু হয়ে অভিযান। মাঠে নামলেন প্রশাসনিক কর্তারা।
গতকাল নবান্নের বৈঠকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সবজি মজুত করে রাখলে এসটিএফ, সিআইডি, ইনফরমেশন ব্রাঞ্চকে নজরদারি চালাতে বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরদিনই রাজ্যের বাজারগুলিতে পরিদর্শনে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
জেলায় জেলায় চলছে অভিযান। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলি – অনেক জেলাতেই এ দিন হানা দিতে দেখা যায় প্রশাসনিক কর্তাদের। সঠিক দামে শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন। ওজন মাপার মেশিনগুলি ঠিকঠাক আছে কিনা সে বিষয়েও খতিয়ে দেখেন। গরমিল দেখলেই দ্রুত নেওয়া হয় ব্যবস্থা।
হোলসেল ও রিটেল দুই বাজারের দাম খতিয়ে দেখছে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। কথা বলছেন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে। কোন সবজির কী দাম, হোলসেল থেকে কিনে রিটেলে তা কত দামে বিক্রি করা হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। দুইয়ের মধ্যে দামের এত বেশি ফারাক কেন, তাও জানার চেষ্টা চলছে। আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম ভাবে শাকসবজির দাম যাতে বাড়ানো না হয়, সেই ব্যাপারে বিক্রেতার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
দামের পাশাপাশি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা ওজনের জন্য ব্যবহার করা ইলেকট্রনিক মেশিনও পরীক্ষা করা হয়েছে। বেশি কিছু মেশিনে গন্ডগোল ধরা পড়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন বছরে একবার করে ইন্সপেক্টর অফ মেট্রোলজি দফতরে গিয়ে মেশিন কেলিব্রেশন করাননি। এরফলে ওজন ঠিক মতো ক্রেতারা পাচ্ছেন না।