ঢাকা: বাংলাদেশ জুড়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন। যা গত কয়েক দিনে ক্রমশ ঝাঁজ বাড়িয়েছে। ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশের বাধা এবং সংঘর্ষে ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে সংরক্ষণ নিয়ে রায় দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার এই মামলার শুনানি হল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। রায় অনুযায়ী দ্রুত সরকারকে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে নির্দেশ দিয়েছে ওপার বাংলার সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ আসনে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। সাত শতাংশ আসন এক্ষেত্রে সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য, এক শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বাকি এক শতাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বরাদ্দ থাকবে, স্পষ্ট নির্দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ থেকে সংরক্ষণ চালু হয় বাংলাদেশে। শুরুতে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হয়। বাকি ৪৪ শতাংশে নিয়োগ হত মেধার ভিত্তিতে। সংরক্ষণ বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের। ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যে ৩০ শতাংশই ছিল তাঁদের জন্য। এছাড়া মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষিত পদ ছিল সরকার চাকরিতে। পুরনো এই সংরক্ষণ পদ্ধতির বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালে।