হাঠৎ করেই টানা দুদিন ব্য়াঙ্ক ধর্মঘটের ঘোষণা করল দেশের প্রায় সব ব্য়াঙ্কের মিলিত কর্মী সংগঠনগুলি। যে কারণে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরপর দুদিন ধরে বন্ধ থাকার সম্ভাবনা যাবতীয় ব্য়াঙ্কিং পরিষেবা। যদি সত্য়িই শেষ পর্যন্ত এমনটাই হয়, তাহলে সেটা বহু গ্রাহকের কাছেই বেশ চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ।
এর আগেও এই ধরণের ব্য়ঙ্ক ধর্মঘট সফল করে দেখিয়েছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি ব্য়াঙ্কের সম্মিলিত এই ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্য়াঙ্ক ইউনিয়ন। আর সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে এবার এই ইউনিয়নের তরফে যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেটা কেবলমাত্র ফাঁকা আওয়াজ নয়। শেষ পর্যন্ত যদি এই ধর্মঘট প্রত্যাহার না হয়, তাহলে ধর্মঘটের দুদিন যাবতীয় ব্য়াঙ্কিং লেনদেন এর ক্ষেত্রে যে ভালমতন প্রভাব পড়বে, এটা প্রায় হলফ করেই বলা যায়।
যদিও স্টেট ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কর্মীদের জানান হয়েছে, এই ধর্মঘটের আহ্বানে সাড়া না দিতে এবং নির্ধারিত দুদিন ব্য়াঙ্কের কাজে যোগদান করতে হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে। বুধবার স্টেট ব্য়াঙ্কের তরফে টুইট করে কর্মীদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্র সরকারের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে দেশের বেশ কিছু সরকারি বা আধাসরকারি ব্য়াঙ্ক গুলিকে বেসরকারিকরণ করার জন্য়। অপর দিকে এই বেসরকারিকরণ রুখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্য়াঙ্ক ইউনিয়ন। সংস্থার তরফে আগেই জানান হয়েছিল, এই প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে আগামী দিনে ইউনিয়ন বড়সড় আন্দোলনের পথ বেছে নিতে নিতান্ত বাধ্য় হবে। মনে করা হচ্ছে সম্মলিত ইউনিয়নের তরফে এবার সেই পথেই হাঁটা শুরু করতে চলেছেন বিভিন্ন বেসরকারি ব্য়াঙ্কের কর্মীদের একটা বড় অংশ।