কলকাতা: শনিবার সকাল থেকে সন্দেশখালিবাসীর অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক। আশ্বাসও দিলেন, সব আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কেন কিছু করণীয় নেই, তারও ব্যাখ্যা দেন পার্থ।
সন্দেশখালির ক্ষোভ প্রশমনে ঠান্ডা মাথাতেই একের পর এক অভিযোগ শোনেন সুজিত-পার্থেরা। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। মন্ত্রী-বিধায়কদের দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেউ কেউ আবার ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ মূলত ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের শাগরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে।
সেখানেই শাহজাহানের গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠতেই পার্থ ভৌমিক বলেন, “শিবু এবং উত্তমের বিষয়টা রাজ্য পুলিশের আওতায়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে কেস করেছিল ইডি। হাইকোর্টে একটা হলফনামা ছিল। যেন শাহজাহানের ব্যাপারে রাজ্য পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপ না করে। আমাদের নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন কলকাতা হাইকোর্ট যদি নির্দেশ দেয় ১০ দিনের মধ্যে রাজ্য পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। অর্থাৎ আমাদের দলের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কিন্তু ইডি তো আর আমাদের নয়, ইডি কেন্দ্রীয় সরকারের।”
তিনি আরও বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বলতে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস জিরো টলারেন্সে বিশ্বাস করে। যারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাতে এক সেকেন্ড সময় নেয় না, তাদের কাছে অন্য কোনও নেতার মূল্য নেই। তাঁদের তাড়াতে এক সেকেন্ডও লাগবে না।”