প্রথম পাতা খবর বর্ষবরণের উপহার, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা জনসাধারণের কাছে ফিরিয়ে দিল রাজ‍্য সরকার।

বর্ষবরণের উপহার, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা জনসাধারণের কাছে ফিরিয়ে দিল রাজ‍্য সরকার।

753 views
A+A-
Reset

বীরভূম : মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মেনে নতুন বছরের প্রথম দিনই বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার সকালেই কালীসায়র থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দখল নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। এর ফলে সাধারণ মানুষের প্রবেশে আর বাধা রইল না। তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হল পুলিশ।

ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের মধ‍্য দিয়ে রাস্তা ফিরে পাওয়ার আনন্দ উদযাপন করলেন আশ্রমিক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।

পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীকে দেওয়া একটি রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা, গত সোমবার বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ওই রাস্তায় সাধারণের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । তাতে অসুবিধায় পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর আবেদন মেনে রাস্তাটি ফের পূর্ত দপ্তরকেই ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান নেন মুখ্যমন্ত্রী।

উপাসনা মন্দির থেকে কালীসায়র মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির জন্য ৬ কোটি এবং শ্যামবাটি থেকে শিক্ষাভবন মোড় পর্যন্ত রাস্তার জন্য ১৬ কোটি, রাস্তা দুটি সংস্কারের জন্য মোট ২২কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ‍্যমন্ত্রী। বর্তমানে শ্যামবাটি থেকে শিক্ষাভবন মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হয়ে আসার পর উপাসনা মন্দির থেকে কালীসায়র মোড় পর্যন্ত রাস্তাটিতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করে বিশ্বভারতী। বর্তমানে উপাসনা মন্দিরের কাছে রাস্তার কিছু অংশ খালি রেখে ব্যারিকেড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল করে বিশ্বভারতীর নির্দেশ অনুসারে। এই নিয়ে অর্মত্য সেন সহ একাধিক আশ্রমিক এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিলেন।

এর মধ‍্যেই সুরশ্রীপল্লী-বিশ্বভারতীর মধ্যে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর পাঁচিল তোলার কাজ শুরু করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যার জেরে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি বা বাইক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার সকালে সেই কাজ বন্ধ করে দেয় বীরভূম জেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজ্য রাস্তা ফেরত চাইতেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধ নিতেই এই রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছিল।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.