ডেস্ক: উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবার প্রচারে কার্যত ঝড় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দিলেন আক্রমণের নতুন তির। অসমে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের উপর পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মমতার আক্রমণ, ”বিজেপি তো ডান্সিং ড্রাগন। অসমে মৃতদেহ উপর উঠে নাচছে। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ? নাকি তাদের শোভা পায়?” রোম সফর বাতিল হওয়ায় ফের বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা।
এদিন মমতা বলেন, বাংলা সেই রাজ্যে যা বিশ্বের কাছে শান্তির নজির। তাই বাংলাকে শান্তি সম্মেলনে ডাকা হয়। মমতার কথায়, “বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমাকে ডাকলে যারা হিংসুটে তারা বলে যাওয়া যাবে না। ওটা নাকি ফিট নয়! তা কোনটা ফিট, আর কোনটা আনফিট? কে ঠিক করবে? আমার ভাল মন্দ আমি বুঝব না? তোমাদের বোঝাতে হবে? অনেক রাজ্যে আছে যারা কোনও অনুমতিই নেয় না। আমি নিই। কারণ, সৌজন্য-শৃঙ্খলা। আমি চাই আমার দেশের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল থাকুক। কিন্তু এ ভাবে আটকানো কেন? বিশ্বশান্তির আরেক নাম ভ্রাতৃত্ববন্ধন, সম্প্রীতি। নাই যা যেতে পারলাম সেখানে। ইতালির সরকার যে ভাবে আমাকে স্পেশাল পারমিশন করে দিয়েছিল যাওয়ার জন্য, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই।”
ভবানীপুরকে ‘মিনি ভারতবর্ষ’র সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ”ভবানীপুর ছোটখাটো ভারতবর্ষ। এখানে হিন্দু, শিখ, জৈন, পারসিক, খ্রিস্টান – সবধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করেন। আর এখান থেকেই নতুন লড়াই শুরু হচ্ছে। এবার গোটা ভারতবর্ষের প্রতিটি কোনায় কোনায় পৌঁছে যাব।”ভবানীপুরবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, “আমরা চাই ভোটটা এবার দিন। ৪০-৫০% এর বেশি দেখি ভোট হয় না এখানে। এবার সকলে ভোট দিন। ভোট আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। তা না দিলে দেখবেন কোনদিন সিএএ, এনআরসি করে আপনার নামটা কেন্দ্র সরকার বাদ দিয়ে দিয়েছে।”বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম জগাই-মাধাই-গদাই। এই কদিন অনেক কিছু করবে। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন, ভোটটা দিন।”
আরও পড়ুন: মমতাকে রোম যেতে বাধা দেওয়া হল? কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী
মমতা বলেন, “গণতন্ত্রে ভোটদান মৌলিক অধিকার। যদি আপনি ভোটটা না দেন, যে কোনও দিন কেন্দ্রের জুমলা পার্টি সিএএ বা এনআরসির নাম করে আপনার নামটা কেটে দেবে।” এ প্রসঙ্গে আবারও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। তাঁর সংযোজন, “কোনও কোনও দলকে চমকালেই চুপ করে যায়। এই কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারা সিপিএমের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে। এখনও করে। বিজেপির সঙ্গেও করে। তবে আমরা লড়ব। আমরা কাউকে ভয় পাই না। কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও না।”