কলকাতা: দলের ভিতরের অশান্তির কথা চলে আসছে বাইরে। যা দলের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এমনকী আগত লোকসভা ভোটেও তার প্রভাব পড়তে পারে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে দল যে ৩৫টা আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তা সফল করতে হলে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে বাড়তে শুরু করেছিল বিজেপি। জঙ্গলমহলেও ফুটছিল পদ্মফুল। মতুয়াগড়েও ছিল রমরমা। লোকসভা, বিধানসভা ভোটে কার্যত তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার পঞ্চায়েত ভোটে সেই পাশা পালটে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর নেপথ্য রয়েছে বহুবিধ কারণ। যেগুলির মধ্যে রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। এ বার সেকথাই স্বীকার করতে শোনা গেল বিজেপি নেতাকে।
অতীতেও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, দলে পদে থাকলেও তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। দলীয় কোনও কাজকর্মের সঙ্গে যুক্তও করা হয় না, এমনকী খবরও দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে এবিপি আনন্দ-এর কাছে তিনি বলেন, “থাকি, হয়তো মিডিয়ায় ফোকাস হয় না। নতুন নেতৃত্ব আছে। তাঁরাই এখন সামনের সারিতে থাকেন। আমরা আছি।”
২০২৪-এ বিজেপির সম্ভাব্য আসনপ্রাপ্তি নিয়ে রাজু বলেন, “অমিত শাহ যে ৩৫টি আসনের স্বপ্ন দেখছেন, সেটা সফল করতে হলে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এরকম যদি চলে, নিজেদের মধ্যে যদি অশান্তি হয়…। দলের ভেতরে কিছু হতেই পারে। কিন্তু, এটা বাইরে চলে আসছে। যেটা দলের পক্ষে খুব ক্ষতি করে। আমি আশা করব, যাঁরা কেন্দ্র এবং রাজ্যে দলের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা খুব শীঘ্র এগুলো মেটাবেন। নাহলে দলকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।”
একই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “সংগঠন ঠিকঠাক করতে হবে। শুধু হাওয়ায় ভোটে জিতবেন, এটা এক-দুবার হয়। যাঁরা এখন বিষয়গুলি দেখছেন, তাঁদের ভাবা উচিত আমরা কীভাব ৩৫টি আসন পাই। কারণ, অমিত শাহ বলে গেছেন, এবার আমাদের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ৩৫টি আসন দরকার। তিনি নিশ্চয়ই বুঝে বলেছেন। সেই জায়গায় সংগঠনটা তুলতে হবে।”