দিনহাটায় ভোটের আগে তৃণমূলে গেলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক-সহ অনেকে!
ডেস্ক: আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন দিনহাটায়। তার মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে গেরুয়া শিবিরে বড়োসড়ো ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কোচবিহার জেলা বিজেপি সম্পাদক এবং দিনহাটার সংযোজক। ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়লেও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।
গত বিধানসভা ভোটে দিনহাটা থেকে পদ্মপ্রতীকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তবে বাংলার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন অধরা রয়ে যাওয়ায় আর বিধানসভায় যেতে চাননি বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল উদয়ন গুহকে। নিশীথের ইস্তফা দেওয়ার পর এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও তাঁকেই প্রার্থী করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মজার কথা, মাত্র ৫৭টি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন উদয়ন। স্বভাবতই নবান্নের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। অন্য দিকে, শেষ কয়েক দিন ধরে উত্তরবঙ্গের এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। শনিবারের পর, রবিবারও, দিনহাটায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক দেখা গিয়েছে।
কোচবিহারের বিজেপি সম্পাদক সুদেব কর্মকার ও দিনহাটা কেন্দ্রের বিজেপির সংযোজক কল্যাণ সরকার তৃণমূলে যোগ দিলেন। পাশাপাশি দল ছেড়েছেন আরও তিনশো বিজেপি নেতা-কর্মী। রবিবার, দিনহাটায় তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন, মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি পরেশচন্দ্র অধিকারী। ছিলেন দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ-ও।
আরও পড়ুন: গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জোর বৃষ্টি, ভোগান্তির আশঙ্কা
খোদ জেলা সম্পাদককে দলে টেনে নিয়ে যথেষ্ট উজ্জীবিত ঘাসফুল শিবির। যদিও এই ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছে পদ্মশিবির। কোচবিহার বিজেপির সভানেত্রী তথা বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেছেন, এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।