ডেস্ক: ভাঙন শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। মুকুল রায়ের পর দল ছাড়লেন আরও এক বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূলের দাবি ছিল, আরও অনেক বিজেপি বিধায়কই দলবদলের লাইনে রয়েছেন। সেই দাবি এদিন কিছুটা মান্যতা পেল। তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। কলকাতায় ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে শাসক দলে নাম লেখালেন তিনি।
এদিন ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, বাঙালিকে কোনঠাসা করার রাজনীতি বিজেপি বিধায়করাই মেনে নিচ্ছেন না। নিজের দেশকে ভালবাসার মতোই নিজের জাতিকেও ভালবাসার বোধ থাকবে। কিন্তু বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন অস্থির রাজনীতির প্রতি প্রতিবাদ জানিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা জানিয়ে তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগদান বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আকাশ চিরে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক রকেট, ফের কাবুল বিমানবন্দরে হামলা
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে তন্ময় অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিই বোঝে না। বরং বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করতে চাইছে তাঁরা। বিজেপির রাজ্য নেতাদের প্রতি তিনি কটাক্ষ করে বলেন, দিল্লি কিংবা গুজরাত থেকে এসে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা এই রাজ্যে তাঁদের দলের নেতাদেরও খারাপ লাগছে। তিনি দাবি করেন বিজেপির জন প্রতিনিধিরাই মানতে পারছেন না। সেই কারণেই মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি বিজেপির সকল জনপ্রতিনিধিকে বলছি, আপনারা ওই দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের সামিল হওয়া উচিৎ।’
এটা বিজেপির কাছে অবশ্যই বড় সেটব্যাক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা আরও কমে গেল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন নিয়ে বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিয়েছিল বিজেপি। সেখানে দেখা গিয়েছে তাঁরা ১০০ আসন অতিক্রম করতে পারেননি।