উত্তর কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকায় ব্যবসায়ী ভাগারাম দেবাসীকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল দুই অভিযুক্ত। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উপর ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে খুনের মূল অভিযুক্ত করণ সিংহ ও কৃশপাল সিংহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজস্থানের বাসিন্দা ভাগারাম দেবাসী বড়বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। অভিযুক্তদের কাছ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি, যা ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন। টাকা আদায় করতেই গিরিশ পার্কে ভাগারামের কাছে যান কৃশপাল ও করণ। তাঁকে বিষ মিশানো কফি খাইয়ে অচৈতন্য করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় এবং পরে গলার নলিও কেটে ফেলা হয়।
খুনের পর নীল রঙের ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ ভরে অভিযুক্তরা প্রথমে দমদম নাগেরবাজারে যান। পরে অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের দিকে রওনা হন, উদ্দেশ্য ছিল নির্জন এলাকায় দেহ ফেলে দেওয়া। তবে গাড়ির চালকের সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। মাঝরাস্তায় আচমকা গাড়ি থামাতে বলায় চালক রাহুল অধিকারী সন্দেহ প্রকাশ করেন। সেই সময় পুলিশ টহলরত অবস্থায় গাড়ির কাছে এলে কৃশপাল পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু করণ ধরা পড়ে। ট্রলির ভেতর থেকে নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও রক্তমাখা অস্ত্রও উদ্ধার হয়।
পরে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ কৃশপালকে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছ থেকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীদের ধারণা, পরিকল্পনা করেই ভাগারামকে খুন করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের জেরা করে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।