ডেস্ক: বিধানসভা ভোট পরবর্তী অশান্তির তদন্তে রাজ্যে এসেছে সিবিআইয়ের একটি বিশাল টিম। ওইসব মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে সিবিআই মোট ৯টি মামলা রুজু করেছে। আজ ১৭ জনের একটি দল তদন্তে যায় নদিয়ার চাপড়ায়। এখানে খুন হন বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডল। একটি টিম আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। অন্য একটি টিম গেছে উত্তরবঙ্গে।
১৪ জুন পলাশ মণ্ডলকে বাড়িতে গুলি করে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দেওয়ালে বোমা ও গুলি চিহ্ন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। গোটা বাড়ি ঘুরে দেখেন। পলাশের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার বিবরণ দেন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজনের নাম তদন্তকারীদের জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলের ছবিও তোলেন সিবিআই-এর ফটোগ্রাফাররা। ১৪ জনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ফরেনসিক দলের সদস্যরা।
পবিরারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস গ্রেফতার করে ৭ জনকে। তবে পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য কালু সেখের নেতৃত্বে ওই হামলা হলেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এনিয়ে তারা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিল তার পরিবার।
অন্যদিকে, গত ১৪ জুন সকালে কৃষ্ণনগরের মণীন্দ্র পল্লীতে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল। স্ত্রী শেফালী মণ্ডলের অভিযোগ, স্বামী বিজেপি করাতেই তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সেই মামলার তদন্ত করতে আজ সকালে সিবিআই টিম এল পালাশের বাড়িতে। মৃতের পরিবার ও এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক পাইলটের, অল্পের জন্য দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশগামী বিমান
সোমবারই বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই কর্তারা। দু’ঘণ্টার কথোপকথনে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম তুলে ধরেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
চার জোনেই ক্যাম্প করে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। একটি ক্যাম্প হবে দুর্গাপুরে। সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমের জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হবে। একটা ক্যাম্প হবে উত্তরবঙ্গের জন্য। সেই ক্যাম্প হবে কোচবিহারে। এই জেলা থেকে সব থেকে বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে। বাকি দুটি ক্যাম্প চলবে কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কলকাতা সংলগ্ন কয়েকটি জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করবে এই দুটি ক্যাম্প। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ও উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। দ্বিতীয় সব থেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। দুর্গাপুর থেকে তদন্তকারীরা সেখানে গিয়ে হিংসা করবেন।