শনিবার সন্ধ্যায় নির্বিঘ্নে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-৩। শুধু চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করা নয়, চন্দ্রের মাধ্যাকর্ষণ অনুভব করছে বলেও বার্তা পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩।
গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে উত্ক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান-৩। তারপর ২২ দিন পর চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চন্দ্রযান-৩। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান কাটিয়ে আগেই বেরিয়ে গিয়েছিল চন্দ্রযান-৩। এ বার ধীরে ধীরে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে এগোনোর পালা তার। চাঁদের চারদিকে পাক খেতে খেতে ক্রমশ গতি কমাবে চন্দ্রযান-৩। ধীরে ধীরে গন্তব্যের দিকে এগোবে।
এবার চাঁদের আরও কাছে যাওয়ার পালা ইসরোর চন্দ্রযানের। দফায়-দফায় ৫ বার চাঁদের কক্ষপথ বদলাবে চন্দ্রযান-৩। এর প্রাথমিক গন্তব্য চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। তার পর চন্দ্রাভিযানের সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন পর্বটি অপেক্ষা করে আছে ইসরোর জন্য। ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৫টা ৪৭ মিনিট নাগাদ রোভার প্রজ্ঞানকে পেটের ভিতরে নিয়ে ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (সফট ল্যান্ডিং) করার কথা ল্যান্ডার বিক্রমের।
চার বছর আগে ঠিক ওই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’। এর আগে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন। চন্দ্রযান-৩ যদি ঠিকঠাক চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে পারে, তাহলে চন্দ্রযান পাঠানোয় ভারত হবে চতুর্থ দেশ।