পুরুলিয়া প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি দফতরকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন মমতা। তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার শুধু প্রশাসনিক বৈঠকই নয়, মঙ্গলবার দলের কর্মিসভাও করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার সরকারি কাজ করাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের নিয়ে সরাসরি প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রীতিমতো ভুক্তভোগীদের নাম ধরে ধরে কত টাকা ঘুষ চাওয়া হচ্ছে তা ফাঁস করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন পুুরুিলয়ার প্রশাসনিক বৈঠকেই জমির মিউটেশন করাতে গিয়ে মানুষের হয়রানির অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী৷
পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে শুরুর দিকেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী সমাজের বহু মানুষ জমির মিউটেশন করতে গিয়েও পারছেন না৷ পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের বিএলআরও অফিসের দালাল চক্র নিয়ে প্রথমে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় বলেন, ‘ব্লক ভূমি রাজস্ব অফিস ঘুঘুর বাসা। অফিসের কাজ দোকানে হচ্ছে। কর্মচারীরাই করাচ্ছেন। ঘুষ না দিলে সাধারণ গরীব মানুষদের কাজ হচ্ছে না।’
এদিনের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু কাজ ৫-৬ বছর ধরে পড়ে আছে। বহু প্রকল্পের কাজ অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে। সেগুলির প্রক্রিয়া চলছে বলে দেখানো হচ্ছে। কেন সময়ে কাজ হচ্ছে না, প্রশ্ন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এছাড়া বিএলআরও-তে গিয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দালালদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। মানুষ যাতে পরিষেবা পান তা দেখতে হবে, এদিন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, এইসব যে অভিযোগ তাদের এইসব অভিযোগের সমাধান কী হবে? জমি মিউটেশন এখন অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। বাবা মারা গেলে সন্তানরা তার সম্পত্তি পাবে। তাহলে কেন আপনারা তাদের ঘোরাচ্ছেন? পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদে এনিয়ে অভিযোগ হয়নি? আগে ভাবতাম রাজনীতির লোকজন দুর্নীতি করে। সরকারি কর্মীদের সুনামের সঙ্গে কাজ করতে হবে।