উত্তরবঙ্গে চা শিল্প নিয়ে ছড়ানো বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের চা পর্যটন নীতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানালেন, কিছু চা বাগান যেগুলি টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ ছিল, সেগুলিকে তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে। সফলভাবে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারলে, সেই লিজ ৩০ বছরের জন্য দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, চা বাগানের জমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হচ্ছে না, বরং লিজের নিয়মেই থাকবে। যেখানে চা উৎপাদন হয়, সেই জমিতে কোনওরকম ব্যবসায়িক কার্যকলাপ করা যাবে না। তবে অব্যবহৃত জমিতে চা পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, যাতে স্থানীয় যুবক-যুবতীরা কাজের সুযোগ পায়।
তিনি জানান, চা পর্যটনের জন্য ১৫ শতাংশ জমি ব্যবহারের অনুমতি আগে থেকেই ছিল, এবার সেটি আরও কার্যকর করা হচ্ছে। যেসব চা বাগানে চা উৎপাদন হয় না, সেখানকার জমি শ্রমিকদের পাট্টা হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৬ হাজার পাট্টা প্রস্তুত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কেউ অতিরিক্ত জমিতে ব্যবসা করতে গিয়ে চা বাগান বন্ধ করে দেয়, তাহলে সরকার সেই জমি ফিরিয়ে নেবে এবং চা বাগান পুনরায় চালু করবে। চা শিল্প ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই রাজ্য সরকার উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন।