২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্য জুড়ে অশান্তি। বুধবার কসবা ডিআই অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। তালা ভেঙে অফিসে ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও পালটা লাঠিচার্জে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকা।
ডিআই অফিসে বিক্ষোভকারীদের ঢুকে পড়া ও তালা ভাঙার ঘটনা পুলিশের তরফে স্বীকার করা হয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “পুলিশ কারও বিরুদ্ধে নয়। তবে পুলিশেরও অনেকে আহত হয়েছেন।” পুলিশের লাথি মারা নিয়েও উঠেছে অভিযোগ, যার জবাবে সিপি বলেন, “অভিপ্রেত নয়।”
লালবাজারের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, “বিক্ষুব্ধ জনতা বিনা উস্কানিতে পুলিশকে আক্রমণ করে। ৪ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।” পরিস্থিতি সামাল দিতে “হালকা বলপ্রয়োগ” করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। যা বাঞ্ছনীয় নয়। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সরকার চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে। সমস্যা সমাধানে পারস্পরিক আস্থা প্রয়োজন।”
lfvf বললেন, “ডিআই অফিস অভিযানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ৭ তারিখ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। চাকরিহারাদের সঙ্গে আছেন বলেছেন। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কিছু জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, যা বাঞ্চনীয় নয়। তবে এর একটা ভালো দিক আছে, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে যাচ্ছেন। এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সকলকে ভরসা দিচ্ছি, সরকার ওদের সঙ্গে আছে। সবরকম সাহায্য করতে রাজ্য প্রস্তুত। ওরা যে কষ্টের মধ্যে রয়েছে আমরা সেটা বুঝতে পারছি। মানবিক দিক থেকে আমরা পদক্ষেপ করছি। আমার আবেদন, এমন কিছু করবেন না যাতে রাজ্যকেও কোনও পদক্ষেপ করতে হয়। পারস্পারিক আস্থা ছাড়া সমস্যা সমাধান নয়।”