কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। কিছুটা দেরি হলেও নবান্নে পৌঁছে যান ডাক্তাররা। কিন্তু নিজেদের শর্তে অনড় চিকিৎসকেরা। জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া কোনও আলোচনা হবে না। প্রায় দুঘণ্টা পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আন্দোলনকারীদের লাইভ স্ট্রিমিং- এর ব্যাপারে মমতা বলেন, ‘‘ভিডিয়ো রেকর্ড করা হবে, জানানো হয়েছিল। তিনটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। চাইলে ভিডিয়োর রেকর্ড তাঁদের হাতে তুলে দিতাম। সুপ্রিম কোর্ট যে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে, আমরা পারি না। মামলা বিচারাধীন। সিবিআই দেখছে। চাইলে আমরা তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড দিতাম। কোর্টকেও দিতে পারতাম।’’
মমতা জানান, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই কিছু বিষয় মানতে হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা দূর না হয়। চিঠিতেও লিখএ দিয়েছিলাম। খোলা মন নিয়ে ালোচনার কথা বলেছিলাম। যে কোনও বিষয় তুলতে পারতেন। তার পর সংবাদমাধ্যমকে জানাতেন। বৈঠক ইতিবাচক হলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করতাম।’’
হাতজোড় করে মমতা বলেন, ‘‘আমি তিন দিন ধরে বসে রয়েছি। যাঁদের বিরুদ্ধে অঁদের এত অভিযোগ, তাঁদের আসতে বারণ করেছি। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি, তিন দিনেও সমস্যার সমাধান করতে পারলাম না। ক্ষমা করলাম ডাক্তারদের। আপনারা কাজে যোগ দিন। এটুকুই আবেদন আমার।’’
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ১৫ জন প্রতিনিধিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে ডেকেছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যসচিবের চিঠির পর আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ১৫ নয়, ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়েই তাঁরা নবান্নে যাবেন। অবশেষে ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়েই নবান্নে পৌঁছান ডাক্তাররা। সবাইকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাধ সাধলো লাইভ স্ট্রিমিং।