কলকাতা: রাজ্যপাল বনাম রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরোধ বিতর্কে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সাংবিধানিক পদ। তাঁকে সরাতে হলে ইমপিচমেন্ট করতে হয়।”
বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার পটনা উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। বললেন, “নির্বাচন কমিশনারকে সরানো অত সহজ নয়। জটিল প্রক্রিয়া। মন্ত্রীসভার অনুমোদনে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। রাজীব সিনহাকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের ফাইলে রাজ্যপালই সই করেছিলেন। কেউ তাঁর উপর চাপিয়ে দেয়নি। ফলে এ ভাবে কোনো দিন নির্বাচন কমিশনারকে পদচ্যুত করা যায় না। সরাতে হবে জাজ-দের মতো ইমপিচমেন্ট করতে হবে। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি, এটা নজিরবিহীন”।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরতের খবর আমার কাছে নেই”। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের কাজ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “ও ওঁর মতো কাজ করছে। আপনারাও মাথা ঠান্ডা রেখে কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করুন। এত শান্তিতে মনোনয়ন, এর আগে কখনও হয়নি, মাত্র চারটি বুথে অশান্তি হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, বুধবার আচমকাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার যোগদানপত্র ফেরত পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কমিশনার পদে রাজ্যপাল ছাড়পত্র দেওয়ার পরে নবান্ন থেকে রাজীবের নামে যোগদানপত্র পাঠানো হয়েছিল। তাতে সই না করেই রাজ্যপাল ফেরত পাঠিয়ে দেন বলে খবর।