রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বৃহস্পতিবারই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, ঘটনার পরই রাজ্য প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমরা সরকারে আছি। আমরা কি চাইব কোথাও কেউ বোমা মারুক!’
তাঁর দাবি, আমাদের বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁরা কেউ ছাড়া পাবে না। ঘটনার পর আমি ৫০ বার ফোন করেছি। ওসি ও এসডিপিও-কে সরিয়ে দিয়েছি, সিট গঠন করেছি। ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম। আজই যেতাম। কিন্তু বিরোধীরা সেখানে গেছেন। আমি আগামিকাল যাচ্ছি’। তিনি আরও বলেন, আমি সিপিএম, কংগ্রেসের মতো চক্রান্তকারী দল নই। উত্তরপ্রদেশে আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি, কিন্তু আমরা তা করি না। গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ যেখানে যেতে পারেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আসলে অশান্তি করতে পারছে না, মানুষ খেতে পারছে না একথা বলতে পারছে না। বাচ্চারা মিড ডি মিল পাচ্ছে না, একথা বলতে পারছে না, চিকিৎসা করাতে পারছে না একথা বলতে পারছে না। তাঁর দাবি, ‘আমরা কি কখনো চাই কখনো রক্ত ঝরুক। কারা করে? যারা সরকার নেই, চক্রান্ত করে তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটায়’।
অপরদিকে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে নবান্ন-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যহত। গতকালই রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘এইরকম একটি ঘটনায় রাজভবন তার মুখ বন্ধ করে রাখতে পারে না। আপনি বলছেন রাজ্য শান্তিপূর্ণ রয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছে তা দেখা গিয়েছে। সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা কি রয়েছে? আপনি সবসময় সংবিধানকে এড়িয়ে গিয়েছেন’। এদিন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।