মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে গ্রামে তারস্বরে মাইক বাজানো বন্ধ করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল পুলিশ। হুগলির পান্ডুয়া থানার এএসআই রাজদেব হাজরার মাথা ফেটে গেছে ইটের আঘাতে। আহত হয়েছেন এক ভিলেজ পুলিশও। শনিবার হুগলির পাঁচঘরা তোড় গ্রামপঞ্চায়েতের নিয়াল গ্রামে এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার থেকেই শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা, অথচ সরস্বতী পুজোর প্রতিমা এখনও বিসর্জন হয়নি নিয়াল গ্রামে। শনিবার সকালে একদল যুবক উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্থানীয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই শোরগোলে তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছিল। এরপর গ্রামবাসীরা পুলিশে অভিযোগ জানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বললে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ করেই পুলিশকে ঘিরে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। একদল যুবক পান্ডুয়া থানার এএসআই রাজদেব হাজরার উপর চড়াও হয়, তাঁর কলার ধরে টানাটানি করা হয়, এবং পিছন থেকে কিল-ঘুষি মারা হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন বিশাল ইট নিয়ে এসে তাঁর মাথায় আঘাত করে, ফলে তিনি রক্তাক্ত হন। আহত হন ভিলেজ পুলিশ সুদীপ ঘোষও। দু’জনকেই পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ডিএসপি ক্রাইম) নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সম্প্রতি পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কিছুদিন আগেই বীরভূমে নকল কয়েনের কারবার রুখতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা হয়। সিউড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে থানার আইসি আক্রান্ত হন। এমনকি কলকাতার গার্ডেনরিচেও এক এসআইকে মারধর ও হেনস্থা করা হয়েছে। আইনরক্ষকরা বারবার আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।