কলকাতা: রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে সোমবার সকালে বাংলাদেশের বুকে কিছুটা শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে দুর্যোগ থেকে নিস্তার নেই এখনই। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আজ দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে একাধিক জেলায়।
রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়। উপকূলে শুরু ঝড়বৃষ্টি। ঝড়ের তাণ্ডবে ভাঙে একের পর এক গাছপালা। রেমালের দাপটে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ক্যানিং, সাগরদ্বীপ-সহ উপকূলবর্তী এলাকায়। ঝেপে বৃষ্টি শহর কলকাতাতেও। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া।
শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে বিপত্তি বাঁধে। কলকাতায় ভাঙে বিপজ্জনক বাড়ি। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, শহরে ৩৫৬টি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে। ২৯টি ট্রান্সফর্মার পুড়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, রেমালের তাণ্ডবে শহরের কয়েকটি জায়গায় বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। শিয়ালদহে একজনের জখম হওয়ারও খবর মিলেছে। বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে ক্যামাক স্ট্রিটে। ১৫ নম্বর বিবির বাগান এলাকায় শেখ সাজিদ নামে এক ব্যক্তি পাশের বিল্ডিং থেকে উড়ে আসা চাঙড়ের ঘায়ে আহত হয়ে মারা যান।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়। আজ নদিয়া-মুর্শিদাবাদে ব্যাুপক ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগণায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে রবিবারের তাণ্ডবের পরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়-বৃষ্টির প্রাবল্য কিছুটা কমবে। ওই দুটি জেলার পাশাপাশি বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, কলকাতা এবং হাওড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ওই সাতটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার ঘণ্টায় ৭০ কিমিতে ঠেকতে পারে।
অন্যদিকে, রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। আজ, সোমবার পাহাড় ও ডুয়ার্সে লাল-কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অল্প সময়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীতে হড়পা বানের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।