ভূমিধসের পর ফের ছন্দে ফিরছে দার্জিলিং পাহাড়। রবিবার পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য জিটিএ (Gorkhaland Territorial Administration) টাইগার হিল, সান্দাকফু ও রক গার্ডেনের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে সোমবার থেকেই সব কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতেই ফের পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে পাহাড়ে। সোমবার সকাল থেকেই কয়েকশো পর্যটক দার্জিলিং ও কালিম্পং পৌঁছেছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, পুজোর পরের সপ্তাহে পর্যটন ফের ঘুরে দাঁড়াবে।
তবে সমস্যায় পড়েছেন ফেরার পথে থাকা পর্যটকরা। গ্যাংটক বা দার্জিলিং থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত গাড়ি ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আরও সমস্যায় পড়েছেন যারা উড়ানে ফিরতে চান। অভিযোগ, সোমবার বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। কেন এই বাড়তি ভাড়া, তার কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি।
অন্যদিকে পাহাড়ে একাধিক স্থানে ধস নামায় ৮ অক্টোবর পর্যন্ত টয় ট্রেনের জয়রাইড পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও অন্য পরিষেবাগুলি আংশিকভাবে চালু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে।
রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “সব রাস্তা খুলে গিয়েছে, পর্যটকদের আমরা বলছি নির্ভয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পং ভ্রমণ করুন।” তিনি আরও জানান, রবিবারের নিষেধাজ্ঞার পর ‘দার্জিলিং বন্ধ’ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল, যা সম্পূর্ণ ভুল। বিমানভাড়া নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে, প্রশাসন সেটি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, যাঁরা রবিবারের ধসের কারণে পাহাড়ে আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের আতঙ্ক এখনো পুরোপুরি কাটেনি। অনেকে ভ্রমণসূচি সংক্ষিপ্ত করে শিলিগুড়ি বা সমতলে ফিরে যাচ্ছেন। তবে সরকারি হিসেবে কতজন পর্যটক এখনও দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে আটকে আছেন, সেই সঠিক তথ্য মেলেনি।
সবমিলিয়ে, ধসের দাগ এখনও কাটেনি, কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাসে পাহাড় ধীরে ধীরে ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে—তবে বিমানের ও গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির বোঝা এখন পর্যটকদের নতুন চিন্তা।