মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ হড়পা বান উত্তরকাশীতে। জলের প্রবল স্রোতে তছনছ হয়ে গিয়েছে ধরালী এলাকা। ভেসে গিয়েছে বহু বাড়িঘর, গাড়ি, হোটেল, এমনকি মানুষও। বুধবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচটি মৃতদেহ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবারও উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়া বিশেষ বদলায়নি। কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি বৃষ্টি চলছে। এই পরিস্থিতিতেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে সেনা এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীও। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হরিদ্বার, নৈনিতাল এবং উধম সিংহ নগরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও কমবেশি বৃষ্টি চলবে। কোথাও জারি হয়েছে লাল সতর্কতা, কোথাও কমলা সতর্কতা। টানা বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারীরাও।
মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎই খীরগঙ্গা নদীতে নেমে আসে হড়পা বান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুকি-সহ আশপাশের গ্রামগুলি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। বুধবার রাজ্যের পরিস্থিতি ও উদ্ধারকাজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী পরে উত্তরাখণ্ডের কয়েকজন সাংসদের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং তাঁদের কাছ থেকেও পরিস্থিতির বিস্তারিত খোঁজখবর নেন।