নয়াদিল্লি: সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সোমবার সেই আবেদনগুলি খারিজ করে দিল আদালত। বিচারপতি জানান, এই নিয়োগ প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না হাইকোর্ট।
অগ্নিপথ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে অনেক আবেদন দায়ের হয়েছে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যাবতীয় তথ্য পেশ করে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন, এই সংক্রান্ত আবেদন করা হয়েছে কেরল হাইকোর্ট, দিল্লি হাইকোর্ট, পটনা, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট, কোচির সশস্ত্র বাহিনী ট্রাইব্যুনালে।
এর পরই সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত জনস্বার্থ মামলাগুলি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আবেদন তালিকাভুক্ত হয় দিল্লি হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে। অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের জন্য নির্দেশ প্রার্থনা করা হয়েছিল ওই আবেদনগুলিতে। প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রাহ্মণ্যম প্রসাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই বিষয়ে রায় সংরক্ষণ করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন ঘোষণার পর থেকেই ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঘোষণার পর থেকে উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিকল্পনায় একাধিক বদল এনেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রকল্পের বিরোধীদের প্রশ্ন, দেশের যুবকদের চাকরির বড় ভরসা হল ভারতীয় সেনা। কিন্তু চাকরির স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় থাকছে। চার বছর পর ঘরে ফেরত পাঠানো ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরের কী হবে? চার বছর পর অসরের সময় এককালীন একটা টাকা মিললেও পেনশন এবং অন্য সুবিধা পাবেন না অগ্নিবীররা।