কলকাতা: আজ, শনিবার মহাসপ্তমী। এ দিন সকালের প্রধান রীতি হল নবপত্রিকা স্নান। চলতি কথায় যাকে বলা হয় কলা বউ স্নান। ষষ্ঠীর বোধনের পর সপ্তমীর সকালে নটি গাছের সমন্বয়ে কলা বউ এসে বসে গণেশের পাশে।
ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড়। যাঁদের পক্ষে গঙ্গায় যাওয়া সম্ভব হয়নি, তাঁরা স্থানীয় পুকুর-ঝিলে নবপত্রিকা স্নান সমাপন করেন। মণ্ডপে বা বাড়িতে ফিরে এসে নবপত্রিকা স্থাপন এবং যথাবিহিত আচার আচরণ সম্পন্ন করে পূজা শুরু।

উল্লেখ্য, নবপত্রিকা বলতে বোঝানো হয় নটি গাছকে। যাতে মূলত দৃশ্যমান কলাগাছ। এটি ছাড়াও ৮ টি গাছ থাকে। যা জড়িয়ে ফেলা হয় শ্বেত অপরাজিতার লতা ও ন গাছা হলুদ সুতোয়। তারপর গাছ-গোছাকে গঙ্গায় স্নান করাতে যাওয়া হয়। নবপত্রিকার সঙ্গে ফলনের দেবীর বন্দনারও মিল খুঁজে পান অনেকে। কী কী গাছ থাকে এই নবপত্রিকায় ? কলা গাছ, কচু গাছ, হলুদ গাছ, জয়ন্তী গাছ, বেল গাছ, ডালিম গাছ , অশোকের ডাল, মান কচু গাছ এবং ধান গাছ। তাদের পরানো হয় লালপেড়ে শাড়ি। তারপর তাকে সিঁদুরের টিপ পরানো হয়।
মহাসপ্তমী
৩ কার্তিক, ইং ২১ অক্টোবর, শনিবার – মহাসপ্তমী
নির্ঘণ্ট: পূর্বাহ্ণ ৯। ২৮। সপ্তমী রাত্রি ঘ ৭। ২১ পর্যন্ত। শ্রীশ্রী শারদীয়া দুর্গা পুজো। পূর্বাহ্ণ মধ্যে চরলগ্নে ও চরণবাংশে (কিন্তু কালবেলানুরোধে দিবা ঘ ৭।৫ গতে পূর্বাহ্ণ মধ্যে)।
দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তম্যাদিকল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা প্রশস্তা।
দেবীর ঘোটকে আগমন। ফল- ছত্রভঙ্গ। রাত্রি ঘ ১০। ৫৮ গতে ১১। ৪৬ মধ্যে মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা।