দিল্লি–কলকাতা: নির্বাচন কমিশন এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র আকার নিল। সোমবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন কমিশনের উদ্দেশে।
কমিশনের দাবি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, অভিযোগের পক্ষে রাহুল গান্ধীকে হলফনামা জমা দিতে হবে অথবা ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে তাঁর বক্তব্য ভ্রান্ত বলে মেনে নিতে হবে।
এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে অভিষেক বলেন, “কমিশন হলফনামা দিয়ে জানাক যে, এক জনও ভুয়ো ভোটার ভোটার তালিকায় নেই। এবং এক জন যোগ্য ভোটারের নামও বাদ পড়বে না। যদি তারা এই নিশ্চয়তা দিতে পারে, বিরোধীরাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের হলফনামা দেবে।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কেন বিজেপি আগ বাড়িয়ে মুখ খুলছে। অভিষেকের অভিযোগ, কমিশনকে ব্যবহার করে বিজেপি রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে।
এদিকে, দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, কমিশন মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার বদলে বিরোধীদের আক্রমণ করছে এবং “পুতুলের ভূমিকায়” অবতীর্ণ হয়েছে।
বিরোধী জোটের অন্যান্য নেতারাও সোমবার কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন। সংসদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি ও ডিএমকের নেতারা কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, বিরোধীরা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে সংসদে প্রস্তাব আনবে নাকি আইনি পথে যাবে। যদিও এই কৌশল নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া চ্যালেঞ্জে স্পষ্ট—বিরোধীরা এখন সংঘাতের পথে হাঁটার প্রস্তুতি নিচ্ছে।