নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভোটচুরি’র অভিযোগ ঘিরে উত্তাল দেশের রাজনীতি। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগ নস্যাৎ করার পাশাপাশি সরাসরি আক্রমণ শানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। এর পরই জানা গেল, তাঁর বিরুদ্ধেই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধী INDIA জোট।
সংবিধানের ৩২৪(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সরানো যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির মতো একই প্রক্রিয়ায়—অর্থাৎ সংসদের দুই কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। বিরোধী শিবিরের সেই সংখ্যা না থাকলেও কংগ্রেস নেতা ইমরান প্রতাপগড়ী জানিয়েছেন, “আমরা দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জ্ঞানেশ কুমার রাহুল গান্ধীর নাম না করে বলেন, “কমিশনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জনগণকে নিশানা করা হচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এভাবে মিথ্যাকে সত্যি করা যাবে না।” তিনি কংগ্রেস নেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সাত দিনের মধ্যে অভিযোগের প্রমাণ-সহ হলফনামা দিতে হবে। নাহলে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও হরিয়ানার একাধিক আসনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তাঁর দাবি, কমিশন ভোটারের তথ্য নিয়ে কারচুপি করেছে এবং বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। গত ৭ অগস্ট তিনি অভিযোগ করেন বেঙ্গালুরুর মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি হয়েছে। সেই ভোটেই বিজেপি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছে বলে দাবি রাহুলের।
বিরোধীদের ইমপিচমেন্ট পদক্ষেপ বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, নির্বাচন কমিশন বনাম বিরোধী জোটের সংঘাত এখন দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।