ভোটার তালিকা সংশোধনে অনিয়মের অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের দুই ইআরও-সহ চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড ও এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ফের চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়ে দিল, আগামী সোমবার (১১ অগস্ট) বিকেল ৩টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সময়সীমার মধ্যে নির্দেশ না মানলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (ইআরও) এবং দু’জন ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (এএইআরও)। কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা এবং এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল।
তবে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেবেন না তিনি। কমিশনের অতিসক্রিয়তার সমালোচনা করে নাম না করে তাঁদের ‘বিজেপির বন্ডেড লেবার’ বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ তোলেন, রাজ্যের সরকারি আধিকারিক ও পুলিশকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
কমিশনের যুক্তি, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে চলে এবং এর সঙ্গে নির্বাচনের সময়সীমার কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী কমিশন এই কাজে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় জনবল দিতে বাধ্য। ইতিমধ্যেই ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন কমিশনের নির্দেশে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে।