সরকার পোষিত ও সরকার-সহায়তা প্রাপ্ত স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা কাটল। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ‘যোগ্য’ বলে চিহ্নিত শিক্ষকরা অবশেষে চলতি এপ্রিল মাসে তাঁদের বেতন পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন জমা পড়ে গেছে বলে সূত্রের খবর।
তবে শুরুতে শিক্ষা দফতরের তরফে স্পষ্ট নির্দেশিকা না আসায় বেতন নিয়ে বেশ কিছুটা দোলাচল তৈরি হয়। প্রধান শিক্ষকরা বুঝতে পারছিলেন না, নতুন অর্থবর্ষের প্রথম মাসে কারা বেতন পাবেন আর কারা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। পরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) একটি নির্দেশিকায় বিষয়টি স্পষ্ট করেন। তাতে জানানো হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘অযোগ্য’ তালিকাভুক্তদের বেতন বন্ধ রাখতে বলা হয়।
পাশাপাশি, যাঁরা গুগ্ল ফর্ম পূরণ করেননি, তাঁদের দ্রুত ফর্ম পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো বেতনও পেয়েছেন। তবে তাঁদের দাবি, শুধু ডিসেম্বর পর্যন্ত নয়, তাঁদের চাকরি ও বেতন ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী করা হোক। এই দাবিতে তাঁরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ইমেল করে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ বাতিল করে দেয়। ফলে ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি খারিজ হয়। তবে পরে ‘দাগি’ নন এমন প্রার্থীদের জন্য ছাড় দেয় আদালত। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। যদিও এই নির্দেশ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।