প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলায় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, সিঙ্গল বেঞ্চ সঠিক বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। শুনানির পর্যায়ে সবার বক্তব্য শোনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করা হয়। এজি বলেন, “শুনানি শেষের পরের দিনই রায় ঘোষণা করা হল, এত তাড়াহুড়ো কেন?”
তিনি আরও জানান, মামলাকারীদের বক্তব্য শোনার পর সিঙ্গল বেঞ্চ পর্ষদের হলফনামা তলব করলেও, আগে সেই একই আবেদন খারিজ করেছিলেন। এজি প্রশ্ন তোলেন, “যে কাউকে যখন খুশি ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা কি বিচার পদ্ধতির মধ্যে পড়ে?” তিনি দাবি করেন, দুর্নীতির কোনও প্রামাণ্য তথ্য ছিল না, শুধু অনুমানের ভিত্তিতেই রায় দেওয়া হয়েছে।
ডিভিশন বেঞ্চও জানতে চায়, ওএমআর শিট মূল্যায়নে বাইরের সংস্থাকে কীভাবে বরাত দেওয়া হল? সেই বরাতের তথ্য কেন গোপন রাখা হয়েছিল? পর্ষদ জানায়, জেলাভিত্তিক মেধাতালিকা তৈরি হয়েছিল, যদিও এর আগে তারা বলেছিল তা প্রকাশ হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৬ মে সিঙ্গল বেঞ্চ ওই ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ২০১৪ সালের টেট পাশ করেন ১,২৫,০০০ জন, নিয়োগ পান ৪২,৯৪৯ জন। সেই নিয়োগের বৈধতা নিয়েই মামলা চলছে।