সুন্দরবনের মানুষ প্রতিনিয়ত বাঘের আতঙ্কে জীবনযাপন করে। নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরা কিংবা গভীর জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এবার সেই ঝুঁকিপূর্ণ জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল রাজ্য বন দফতর ও কেন্দ্রীয় সরকার।
কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানার গুড়গুড়িয়া ভূবনেশ্বরী অঞ্চলে মৎস্যজীবী ও মধু সংগ্রহকারীদের জন্য মৌমাছি পালন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে মধু উৎপাদন ও বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে। এতে পরিবারগুলোর আয় যেমন বাড়বে, তেমনই বাঘের আক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।
এ প্রসঙ্গে এক গৃহবধূ জানান, নদীতে মাছ কমে গেছে, জঙ্গলে আগের মতো মধু মিলছে না, অথচ জীবনের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। বিকল্প কর্মসংস্থান হলে সংসার চালানো অনেকটাই সহজ হবে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উৎপাদিত মধু প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে, যা স্থানীয়দের জন্য স্থায়ী আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকারের এই উদ্যোগ সুন্দরবনের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে।