কলকাতা: গুজরাতে ভেঙে পড়েছে ঝুলন্ত সেতু। মৌরবীতে মাচ্চু নদীর উপর ওই সেতু-বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ বার রাজ্যের সমস্ত ঝুলন্ত সেতুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।
মূলত পার্বত্য এলাকাতেই এই ধরনের ঝুলন্ত সেতু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া তো বটেই, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলায় এই ধরনের ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। এই ধরনের ঝুলন্ত সেতুর রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বাকি সেতু এবং উড়ালপুল নিয়েও রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল, মঙ্গলবারের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে।
জানা গিয়েছে, গুজরাতের ছায়া যাতে বাংলায় না পড়ে তার জন্যই এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে পূর্ত দফতর। সেই বৈঠকে থাকবেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়–সহ নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকরা। আর জেলার ইঞ্জিনিয়াররা ভার্চুয়ালি থাকবেন বৈঠকে। তার আগেই রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেতে মোরবি জেলার মাচ্চু নদীর উপর ওই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে আহত হন বহু মানুষ। সেতুর উপরে থাকা সকলেই নদীতে পড়ে যান। এঁদের অনেককেই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেতু ভেঙে প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে দিকে তাকিয়েই প্রশাসনের এমন রিপোর্ট তলব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গুজরাতের সেতু দুর্ঘটনায় মৃত্যু পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দার