কলকাতা: হরিদেবপুরে অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, অয়নকে ভালোবাসতেন তাঁর বান্ধবী এবং বান্ধবীর মা দু’জনেই। এমনটাও জানা যাচ্ছে, অয়নের সন্তান রয়েছে তাঁর বান্ধবীর গর্ভে।
ঘটনায় প্রকাশ, দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অয়ন। এক বন্ধু তাঁকে হরিদেবপুর এলাকাতেই অয়নের বান্ধবী প্রীতি জানার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। মত্ত অবস্থায় তিনি প্রীতির বাড়িতে পৌঁছন। ওই যুবক অ্যাপ নির্ভর বাইক চালাতেন।
সেখান থেকেই রাত তিনটে নাগাদ শেষ বার বাড়িতে ফোন করেন অয়ন। এর পর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, ওই রাতেই বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতে ইট জাতীয় কোনো ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে অয়নকে খুন করা হয়। দিদি এবং মাকে হেনস্থা করার জন্য তাঁদের কথা মেনে অয়নের মাথায় আঘাত করে বান্ধবীরই কিশোর ভাই, এমনই উল্লেখ পুলিশি রিপোর্টে।
খুনের পর তাঁর মৃতদেহ পাচার করার জন্য পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করা হয়। এর পরই অয়নের মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে মগরাহাটের কাটপোলের কাছে করিমাবাদে ফেলে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে অয়নের পরিবারের তরফে হরিদেবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। খোঁজ শুরু করে পুলিশ। মগরাহাটের ওই জায়গা থেকেই পরে পুলিশ অয়নের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মৃত যুবকের বাবার দাবি, ‘‘অয়নের বান্ধবীর বাবা জেনে যায় যে আমার ছেলের সঙ্গে ওঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে। মেয়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ভেবেছে ওকে যদি মেরে দিই তা হলে আমার সংসার সুখে থাকবে। এই কারণেই খুন করা হয়েছে। মা-ও আমার ছেলেকে ভালবাসে, মেয়েও আমার ছেলেকে ভালবাসে। আমার ছেলে কী করবে? একটাই তো ছেলে! এ বার কী করবে ছেলেটা? দু’জনকে একসঙ্গে কী করে চালাবে?’’
সংবাদ মাধ্যমের কাছে অয়নের মা দাবি করেন,”একাদশীর দিন হঠাৎ আমার হাত ধরে ও (প্রীতি) বলে, আমি গর্ভবতী।” তবে অয়নের মায়ের প্রশ্ন, “প্রীতি তো হস্টেলে থাকে। তা হলে কী করে অন্তঃসত্ত্বা হল”?
আরও পড়ুন: কার্নিভালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, রামমোহন সম্মিলনীর প্রতিমা-সহ ট্যাবলোতে ধাক্কা ট্যাক্সির