পুজোর শেষলগ্নে ফের ঘনিয়েছে মেঘ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া শক্তিশালী গভীর নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া।
দশমীর ভোর থেকেই কলকাতার একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। দিনভর এই রকমই আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত গরমও থাকবে।
শুক্রবার একাদশীর দিনে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিকের জেলাগুলিতে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে। পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতাও দিয়েছে হাওয়া অফিস।
দ্বাদশীর দিন শনিবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। রবিবার রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন কিছুটা আবহাওয়ার উন্নতি হলেও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সকালের দিকে কোথাও কোথাও রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ দেখা যাবে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির দাপট ধীরে ধীরে কমবে। তবে বৃষ্টির পর অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ফের ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হতে পারেন সাধারণ মানুষ।
এবারের পুজোয় আলিপুর হাওয়া অফিস বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও, ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেও সাধারণ মানুষের আনন্দে ভাটা পড়েনি। তবে মায়ের বিদায়ের আগে আবহাওয়ার খামখেয়ালির কারণে মনখারাপ হচ্ছে আপামর বাঙালির।