আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে বলায় আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন নগরপাল বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে। তবে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাম বলেননি। উত্তেজনার বশে এমনটি হয়ে থাকতে পারে, তবে তা শাস্তিযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তিও করে দেয় আদালত।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, বিনীত গোয়েল যে ভুল করেছেন, তা তিনি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন এবং সেই বিষয়ে আদালতকে চিঠি লিখে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। যদিও এই ধরনের ভুল ভবিষ্যতে এড়াতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ দিয়েছে আদালত—এমন সংবেদনশীল বিষয়ে বাহিনীর আধিকারিকদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দিতে হবে, প্রয়োজনে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা দরকার।
অন্যদিকে, এই মামলায় বুধবার শিয়ালদহ আদালতে ষষ্ঠ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ ও একাধিক বয়ান খতিয়ে দেখার পর বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর বিরোধিতা করে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে প্রশ্ন তোলেন, “সিবিআইয়ের সম্পত মীনা ও বিনীত গোয়েল তো একই ব্যাচের! এক ব্যাচমেট আর এক ব্যাচমেটের বিরুদ্ধে কীভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করবে?”
তবে সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি আদালত। সিবিআইয়ের আইনজীবী পাল্টা বলেন, “ব্যাচমেট হওয়া কোনও অপরাধ নয়। যথাযথ তদন্ত হয়েছে। নাম বলার অভিযোগ ছাড়া বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের প্রমাণ মেলেনি।”
ফলে সবদিক বিবেচনা করে আদালত মনে করেছে, আইন লঙ্ঘনের কোনও ইচ্ছাকৃত উদ্দেশ্য ছিল না। ফলে এই মামলায় প্রাক্তন নগরপাল বিনীত গোয়েলকে ক্লিনচিট দিল কলকাতা হাই কোর্ট।