নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার শুরু হল নতুন সংসদ ভবনের পথচলা। একই সঙ্গে শেষ হল পুরনো সংসদ ভবনের অধ্যায়। তার আগে পুরনো ভবনে সাংসদদের সঙ্গে ছবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নির্ধারিত সময় মেনে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদই সরকার ও বিরোধী দলের সকল সাংসদ পুরানো সংসদ ভবনে এসে পৌঁছন। পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বিশেষ ফোটোসেশন ও অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের অনুলিপি নিয়ে হেঁটে নতুন সংসদ ভবনে যান। সেসময় সব সংসদ সদস্য পায়ে হেঁটে তাঁকে অনুসরণ করেন।

পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন বক্তৃতা করার সময়ই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, “আমরা ভবিষ্যতের আশা নিয়ে এই ভবনটি (পুরনো সংসদ ভবন) ছেড়ে চলে যাচ্ছি… আজকে সেই সাড়ে সাত হাজার জন সাংসদকে স্মরণ করার দিন যাঁরা এখানে কাজ করেছেন… এই ভবনের প্রতিটি ইটকে আমি স্যালুট জানাই।” একই সঙ্গে গত ৯ বছরে যোগ করা মাইলফলকগুলির কথাও স্মরণ করেন তিনি। যেগুলির মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং “এক দেশ এক কর” জিএসটি ব্যবস্থা প্রবর্তন, ইত্যাদি।।
উল্লেখ্য, ১৯২৭ সালে দরজা খুলেছিল পুরনো সংসদ ভবনের। সেই হিসেবে এই ভবনের বয়স প্রায় ৯৬ বছর। এ দিন পুরানো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বসে যৌথ অধিবেশন। এটাই এই সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, স্পিকার ওম বিড়লা-সহ শাসক ও বিরোধী দলের সব সাংসদরা এই যৌথ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রবীণতম সদস্য হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, জেএমএম নেতা শিবু সোরেন এবং বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধীকে বক্তৃতা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।