ডেস্ক: অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত সংসদ। ঘরে-বাইরে সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদে বিরোধীরা। এবার বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে আছে রাজ্যসভা। ব্যতিক্রম হয়নি মঙ্গলবারও। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিরোধী সদস্যরা আধিকারিকদের টেবিলে উঠে পড়েন। দেখানো হয় কালো পতাকা। ছোড়া হয় ফাইল। যেখানে সংসদের আধিকারিকরা বসেন, সেই টেবিলে উঠে যান কয়েকজন সাংসদ। কেউ কেউ সেই চেয়ার-টেবিল ঘিরে সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের হট্টগোলে বারবার মুলতুবি হয়েছে সংসদের উভয় কক্ষ। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সমস্ত শালীনতার সীমা ছাড়ান বিরোধী দলের সাংসদরা। সেই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁর আক্ষেপ, একটি বিষয় নিয়ে ভিন্নমতের জেরে যে ঘটনাবলীর সাক্ষী থাকতে হচ্ছে, তাতে সংসদের মর্যাদা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনসংযোগ বাড়াতেই বাংলা পেরিয়ে ত্রিপুরার মাটি পালন হবে ‘খেলা হবে’ দিবস
বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) যেভাবে (সংসদের) পবিত্রতা ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে আমি দুঃখিত। যেভাবে কয়েকজন সদস্য টেবিলে বসে পড়েছিলেন, কয়েকজন টেবিলে উঠে পড়েছিলেন, তা অপবিত্রতার কাজ। এই কাজের নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই আমার। আমি বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি।’
পেগাসাস, মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা এবং লোকসভা। বিশেষ করে পেগাসাস ইস্যুতে একজোট হয় বিরোধীরা। এবং লাগাতার চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের তরফে আলোচনা চাইলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে পড়ে। এই নিয়ে বারবার কেন্দ্রের তরফে বিরোধীদের কাছে আর্জি জানানো হয়। এমনকি খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজে সমস্ত বিরোধীদের ফোন করে সুষ্ঠ ভাবে অধিবেশন চালানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের হই হট্টগোলের কারণে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পেতে সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। কিন্তু এরপরেও লাগাতার ভাবে সাংসদের মধ্যে এবং বাইরে আন্দোলন চালিয়ে যান।