‘বেগম রোকেয়ার কথা মনে পড়ছিল,’  উচ্চ মাধ্যমিকের ‘ধর্ম’ বিতর্কে প্রতিক্রিয়া মহুয়া দাসের

ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার সময় প্রথম স্থানাধিকারী রুমানা সুলতানার ধর্ম বারংবার উল্লেখ করেন। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতরও। ইতিমধ্যে এই মন্তব্যে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। উচ্চ মাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক রুমানা সুলতানার ‘ধর্ম উল্লেখ’ প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝে শুক্রবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সংসদ প্রধান মহুয়া দাস। মহুয়া জানান, , ”আমি আবেগের বশে বলে ফেলেছি”! 


বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার সময় রুমানার নাম না উল্লেখ করলেও ‘ধর্ম’ জানিয়েছিলেন সংসদ প্রধান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। তাঁর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিবাদের মঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছে পুরো বিষয়টি নিয়ে। এর মাঝেই নেহাত আবেগের বশে কথাগুলো বলেছিলেন, অন্য কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রধান।


শিক্ষাবিদ থেকে রাজনৈতিক মহল, সকলেই একলপ্তে রুমানার ধর্মীয় পরিচিতি উল্লেখ করা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে। শুক্রবার যখন সংসদ সভাপতি দফতরে এসে পৌঁছন, তখন বিদ্যাসাগর ভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক মুক্ত মঞ্চ। সেই বিক্ষোভের মাঝেই তিনি বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। মহুয়ার দাবি, ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরা কখনই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। নেহাতই আবেগের বশে তিনি তা বলে ফেলেছেন। যদিও নিজের জায়গায় কার্যত অনড় থেকে সংসদ সভাপতি বলেন, সংখ্যালঘু বলার সময় তাঁর গর্ববোধ হয়েছে।“ওকে নিয়ে কথা বলার সময় আমার বেগম রোকেয়ার কথা মনে পড়ছিল। তিনিও একই রকম ভাবে পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। তাঁরই কথা মনে পড়ায় রুমানাকে সংখ্যালঘু পরিচয় দিয়েছিলাম,” বলেন মহুয়া দাস।

আরও পড়ুন: তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হলেন মমতা


বিজেপির পক্ষে শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘ “উচ্চ মাধ্যমিকে যিনি প্রথম হয়েছেন তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কিন্তু তাঁর নাম ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, সেটার নিন্দা করছি। রুমানা সুলতানাকে শুধু নয় সামগ্রিকভাবে একটি সম্প্রদায়কে অসম্মান করা হয়েছে।’ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দিকেও ঘুরিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে তাদের পক্ষে।


শুধু বিজেপি নয়, এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি লেখেন, ”মুসলিম মহিলা প্রথম হয়েছে” বলে যারা বারবার বলছে তাদের এত অবাক কেন হতে হচ্ছে!!! মুসলিম মেয়ে বলে কি কোনো অঘটন ঘটেছে!!! মেধা বুদ্ধি পরিশ্রম করে প্রথম হতে হয়। কাউন্সিলের প্রেসে শ্রুতিকটু শুনতে লাগে যখন বলা হয় “প্রথম হয়েছে মুসলমান মেয়ে”! ছাত্রীর নাম দেখে সে কোন্ ধর্মের বোঝানোর দায়িত্ব না নিলে খুশি হব। একজন ছাত্রী ফার্স্ট, ছেলেদের থেকে এগিয়ে চলেছে মেয়েরা – এটা লক্ষণীয়”।

Related posts

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫ ঘোষণা, কারা পেল কোন পুরস্কার?

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে