মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে কয়েকলক্ষ ভক্তের আগমন ঘটেছিল গঙ্গাসাগরে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় যাবতীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা নিয়েও নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মেলায় ছিলেন ‘পরিবেশ বন্ধু’ নামে সাফাইকর্মীরা। জানা গিয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩০০ মেট্রিক টন বর্জ্য ও আবর্জনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আমুল পরিবর্তন ঘটেছে গঙ্গাসাগর মেলা। বেড়েছে পুণ্যার্থী সমাগম। মেলার অজস্র অস্থায়ী দোকানের বর্জ্য, স্নানের পর সাগরতটে ফেলে যাওয়া জামাকাপড় থেকে শুরু করে প্লাস্টিক, থার্মোকল, শালপাতা নিয়মিত সাফাই করেছেন ‘পরিবেশ বন্ধু’রা।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ‘পরিবেশ বন্ধু’দের মাধ্যমে অনেকেই হারানো জিনিসও খুঁজে পেয়েছেন। নাম লেখা রয়েছে এমন সমস্ত পড়ে যাওয়া নথিপত্র সাফাইয়ের সময় খুঁজে পেয়ে মেলার অফিস ঘরে জমা করেন ‘পরিবেশ বন্ধু’রা। সেখান থেকে হারানো জিনিস সংগ্রহ করেছেন কেউ কেউ।
শনিবার ও রবিবার ছিল মকর সংক্রান্তির স্নান। তার পর ঘরে ফেরার পালা পুণ্যার্থীদের। তবে এখনও যথেষ্ট সক্রিয় প্রশাসন। সোমবারই ‘ক্লিন গঙ্গাসাগর’ শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা এবং আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, এ বারের গঙ্গাসাগর মেলা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে তৎপর প্রশাসন। পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এমনকী, মেলায় কারোর কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখা গেলেই তা নিয়ে জৈব কর্ন স্টার্চের ব্যাগ দেওয়ার হয়েছিল এ বার।