২ সেপ্টেম্বর নতুন সৌর অভিযানে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)। ওই দিনেই আদিত্য-এল ১-এর উৎক্ষেপণ (Aditya-L1 mission) করতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
ইসরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সূর্য সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করবে আদিত্য-এল ১। সেটিকে এল-১- এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১. সৌর উপরের বায়ুমণ্ডলীয় (ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা) গতিবিদ্যার অধ্যয়ন।
২. ক্রোমোস্ফিয়ারিক এবং করোনাল হিটিং করার অধ্যয়ন, আংশিক ভাবে আয়নিত প্লাজমার পদার্থবিদ্যা, করোনাল ভর নির্গমনের সূচনা, এবং অগ্নিশিখা সম্পর্কিত অধ্যয়ন।
৩. সূর্য থেকে কণার গতিবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য ডেটা সরবরাহকারী ইন-সিটু কণা এবং প্লাজমা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ।
সৌর মিশনের জন্য যে মহাকাশযানটি ব্যবহার করা হবে তা পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে এল ১ (সান-আর্থ ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট)-এ সৌর করোনার দূরবর্তী পর্যবেক্ষণ এবং সৌর বায়ুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সাহায্য করবে।
ইসরোর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার সৌর মিশনটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির অংশগ্রহণের সঙ্গে একটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রচেষ্টা। মিশনের একটি অংশ হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (IIA) এবং পুণের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। ‘ভিজিবল এমিসন লাইন করোনাগ্রাফ পেলোড’ উন্নয়নে সাহায্য করবে আইআইএ। অন্য দিকে, পুনে-ভিত্তিক সংস্থাটি মিশনের জন্য সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজার পেলোড তৈরি করছে।