কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এক গবেষক ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস করেছিলেন ওই অধ্যাপক। ইতিমধ্যেই ওই গবেষক ছাত্রী যাদবপুর থানা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইন্টারনাল কমপ্লেইন সেল বিষয়টির তদন্ত করছে। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক বিষয়টিতে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। ওই গবেষক-ছাত্রী এখন হাসপাতালে ভর্তি।
জানা গিয়েছে, লিঙ্গুইস্টিক্সের (Linguistics) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক-ছাত্রী। ওই গবেষক-ছাত্রীর দাবি, ওই অধ্যাপক কথা দিয়ে কথা রাখেননি, উল্টে তাঁর উপর এখন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করছেন। তিনি এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: আফগানভূম থেকে সেনা প্রত্যাহারের ‘দায় স্বীকার’ বাইডেনের
ক্লাসের বাইরেও নোটের জন্য অধ্যাপকের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেন তিনি। এইভাবেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ‘স্যার’এর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তিনিও। অভিযোগ, ইদানীং সেই অধ্যাপক তাঁকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। তাঁর ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। ক্লাসেও তাঁকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এরপর ছাত্রী নিজে যোগাযোগ করতে গেলে তাঁকে অপমানও করেন। বিয়ে করার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি। দিনপাঁচেক আগে তিনি যাদবপুর থানায় এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছেন।
ওই গবেষক-ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমাদের দেশে যা আইন রয়েছে, সেই আইন অনুযায়ী মেয়েটি পদক্ষেপ করেছেন। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এছাড়া আমরাও অন্তর্বিভাগীয় তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণীত হলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা।”