কিছুই এখনও স্পষ্ট নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ঝিলপাড় থেকে উদ্ধার হয় ইংরেজি বিভাগের ওই ছাত্রীর দেহ।
চক্ষুদর্শীদের দাবি, রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ কলা বিভাগের ছাত্র ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুরে ভাসতে দেখা যায় কাউকে। পরে জানা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পড়ুয়ারা সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় কেপিসি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই নানা জল্পনা। একাংশ বন্ধুর দাবি, তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অন্য একাংশের দাবি, অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুকুরে পড়ে যান তিনি। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে, মৃতার বিশেষ বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেছেন—“আমার ভালবাসায় নিশ্চয়ই খামতি ছিল, তাই সকলকে ছেড়ে চলে গেলে।” ফোনে তিনি জানান, “যা হবে আইনি পথে হবে। নেশাগ্রস্ত ছিল কি না জানি না।”
প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি ৬৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ৭০টি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব অনুমোদনও করেছিল। তবে সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে চার নম্বর গেটের কাছে চলছিল ‘ড্রামা ক্লাব’-এর আয়োজিত অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রছাত্রী ও প্রাক্তনীরাও। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা।