একশো দিনের কাজ, সর্বশিক্ষা অভিযান, আবাস যোজনার পর ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলল বাংলা। এবার প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘জল জীবন মিশন’-এর অর্থ জটের কারণে রাজ্যের হাজার হাজার ঠিকাদার, মিস্ত্রি, কর্মী ও সরবরাহকারীরা বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাপ্য টাকা পাননি তাঁরা।
২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, দেশের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছবে স্বচ্ছ পানীয় জল। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে ৫০:৫০ অনুপাতে ব্যয়ভার বহন করে প্রকল্পটি। কোভিডে কিছুটা ব্যাহত হলেও ২০২১ থেকে পুরোদমে কাজ এগোয়। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছর পুজোর পর থেকে রাজ্যে কাজ করা ঠিকাদাররা এক টাকাও পাননি।
সংগঠন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বকেয়া বিল বাবদ প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা, আর তৈরি না হওয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ৪,৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া পড়ে আছে। পাশাপাশি বুথে অস্থায়ী টয়লেট ও পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য রাজ্যের কাছেও প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা বাকি রয়েছে।
এই অবস্থায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে অল বেঙ্গল পিএইচই কন্ট্রাকটার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিভিল)। জেলা স্তরে এপ্রিল ও জুনে আন্দোলনও হয়েছে।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মানস চট্টোপাধ্যায় জানান, “এই কোটি কোটি টাকা কি শুধু আমাদের প্রাপ্য? মহাজন, সাপ্লায়ার, মিস্ত্রি, কর্মীরা— সবাই আমাদের ধারে কাজ করেছে। পুজোর আগে কিছু টাকা পেলেই অন্তত কয়েক হাজার পরিবার স্বস্তি পাবে।”
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার রাজধানীর রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিকাদাররা। তাঁদের দাবি, পুজোর আগে অন্তত কিছু টাকা ছাড়া না হলে বহু পরিবার গভীর আর্থিক সঙ্কটে পড়বে।