ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বুধবার রাতে কেঁপে উঠল গোটা জাপান। পরপর বেশ কয়েকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। যার তীব্রতা এতটাই ছিল যে অনেকেই সুনামির আশঙ্কা করছেন। এই ভূমিকম্পের কারণে লাইনচ্যুত হয় জাপানের সব থেকে দ্রুতগামী রেল পরিষেবা বুলেট ট্রেন। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও আহত হন কমপক্ষে ৯০ জন। ভূমিকম্পের পর পরই জাপানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ফলে অন্ধকারে ডুবে যায় প্রায় গোটা জাপান, আতঙ্কিক সেখানকার লক্ষাধিক মানুষ।
জাপানের দুই শহর ফুকুসিমা ও প্রতিবেশী মিয়াগীতে এই ভূমিকম্পের কারণে মোট ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। একাধিক অঞ্চল মিলিয়ে কমপক্ষে ৯০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাপানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। উপকূলবর্তী উত্তর-পূর্ব এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাব সবথেকে বেশি অনুভূত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জাপান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, বুধবার মধ্যরাতের দিকে একের পর এক ভূমিকম্পে বারবার কেঁপে ওঠে জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বাধিক মাত্রা ছিল ৭.৪। যে কারণে অনেক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, এর জেরে সুনামির যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় জলস্তরও স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেশি উচ্চতায় পৌঁছেছে। মধ্যরাতের ওই ভয়ানক ভূমিকম্পের পর থেকেই বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আরও একাধিক ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়, যা আফটার শক বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, টোকিয়োর থেকে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে উৎপত্তিস্থল ছিল এই ভূমিকম্পের। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০ কিমি গভীর থেকে কম্পন অনুভূত হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালেও এখানেই ভূমিকম্প হয়েছিল, যার জেরে সুনামি আছড়ে পড়েছিল।